গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রী সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন আহমেদের কাছ থেকে কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তাদের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যে প্রতিবাদ হচ্ছে, প্রতিবাদ হবে, সেটা স্বাভাবিক এবং প্রতিবাদ হলে সরকারের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়াও সহজ হয়।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিন্তু এই প্রতিবাদ করতে গিয়ে যারা সেখানে সরকারের পদত্যাগ চায় কিংবা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মন্তব্য করে, তখন বুঝতে হবে এদের উদ্দেশ্য নারী এবং শিশু নির্যাতনকারীদের শাস্তি দেওয়া নয়, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই ইস্যুর আড়ালে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করা।’ ‘এটি বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার একটি অপচেষ্টা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর এবং সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।
তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, তথ্য মন্ত্রণালয় এ ধরনের বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বহু আগে থেকেই প্রচারকাজ চালিয়ে আসছে। নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও এ ক্ষেত্রে কাজ করছে।
হাছান মাহমুদ প্রতিবেদন উপস্থাপন ও সম্পাদিত কার্যাবলির জন্য প্রেস কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, প্রেস কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনটি তিনি প্রথানুযায়ী জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রেস কাউন্সিল আইন যুগোপযোগী করার লক্ষ্যেও কাজ করছে সরকার।
তথ্যসচিব কামরুন নাহার ও প্রেস কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব আবদুল মজিদ, নূরে জান্নাত আকতার সীমা ও কাউন্সিল সচিব শাহ আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।