এম এ খালেক খান :
বগুড়ার কৃতি সন্তান দেশের সমাজ পরিবর্তন ও নারী উন্নয়নের অগ্রদূত, দূরদর্শী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, প্রঞ্জাবান, বর্তমান যুগের অহংকার, বহুপ্রতিভার অধিকারী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিধ অধ্যাপিকা ডক্টর হোসনে আরা বেগম প্রতিষ্ঠিত শীর্ষ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএসের আওতাধীন পরিচালিত টিএমএসএসের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গাজীপুর থেকে আগত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে ১১ নভেম্বর বগুড়ার টিএমএসএস ফাউন্ডেশন অফিসে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন সহ টিএমএসএস পরিচালিত নানামুখী কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীরা টিএমএসএস কার্যালয়ে পৌছালে সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের স্বাগতম জানানো হয়। আগত শিক্ষার্থীদের সাথে টিএমএসএস কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময়ে তারা টিএমএসএসে পরিচালিত মাইক্রোফাইনান্স কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হন। আলোচনায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ও আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক অধ্যাপিকা ডক্টর হোসনে আরা বেগম। তিনি টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠা কালীন কর্মকান্ড সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের আরো বলেন টিএমএসএস একটি মানবিক ও সামাজিক সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। অধ্যাপিকা ডক্টর হোসনে আরা বেগম বলেন তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা এ প্রতিষ্ঠান লাভের আশায় নহে সেবার মনোভাব নিয়েই সারা দেশে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় জ্ঞান অর্জন করার পরামর্শ দেন। তিনি উপস্থিত সকলকে মানবিক শিক্ষা গ্রহণের প্রতি আহবান জানান। আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডক্টর মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম ও টিএমএসএসের উপনির্বাহী পরিচালক-২ রোটারিয়ান ডাঃ মোঃ মতিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।
আগত শিক্ষার্থীরা টিএমএসএসের সামগ্রিক কর্মকান্ড পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় টিএমএসএসের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, উপদেষ্টা, পরামর্শক, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এনজিও কর্মী, নির্বাহী পরিচালকের একান্ত সচিব মোঃ ফেরদৌস রহমান ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।