ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়টি “দীর্ঘমেয়াদী এবং কঠিন” হবেl
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এমন হুঁশিয়ারির মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলা রবিবার ২৪তম দিনে প্রবেশ করেছে।
স্থানীয় সময় সকাল পৌনে সাতটা থেকে গাজায় ভারী গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিবিসির সংবাদদাতা জেরেমি বোয়েন। তিনি দক্ষিণ ইসরায়েলের আশকেলন শহরের একটি হোটেলে অবস্থান করছেন। এই শহরটির ১০ কিলোমিটার দূরেই গাজা উপত্যকা। সকালে গোলাগুলির শব্দেই তার ঘুম ভেঙে যায়। “মাত্র এক মিনিটে ছয়টি তীব্র হামলার শব্দ শুনতে পাই। ইসরায়েলি আর্টিলারি ব্যাটারি থেকে গাজায় অবিরাম গুলিবর্ষণ চলতেই থাকে।” ইসরায়েল সম্ভবত গাজায় ধীরগতির তবে দীর্ঘমেয়াদী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে যা কয়েক সপ্তাহ বা এমনকি কয়েক মাস ধরে চলতে পার। দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিরক্ষা সম্পাদক শশাঙ্ক জোশি বিবিসির নিউজ আওয়ার প্রোগ্রামকে এ কথা জানান। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এতদিন ধরে আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়ায় এখন তাদের সৈন্যদের জন্য স্থলভাগে যুদ্ধ করা “কিছুটা সহজ” হয়ে যাবে। তবে নিজেদের সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষের মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে তারা কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “আপনি যদি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মতো গাজার বড় বড় এলাকাগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন, তখন আপনার নিজেদেরই ওই রাস্তায় চলাচল করা কঠিন হয়ে উঠবে।” হামাস তার কার্যক্রমের জন্য যে বিস্তৃত ভূগর্ভস্থ টানেলের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সেটাও ইসরায়েলের সৈন্যদের জন্য “খুব কঠিন” বাধা বলে মি. জোশি মনে করেন। যেহেতু টানেলের ভিতরে জিম্মিরা বন্দি আছে তাই ইসরায়েলি সেনাদের পক্ষে সেখানে “অতর্কিত হামলা চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ” হয়ে উঠতে পারে। এদিকে গাজায় টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাও ইসরায়েলি সেনাদের একটি কৌশল হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। এভাবে আইডিএফ হামাস যোদ্ধাদের রেডিও যোগাযোগের ওপর বাধা সৃষ্টি করে তাদের অন্যান্য সিস্টেমের উপর বেশি নির্ভরশীল করে তুলতে বাধ্য করতে পারে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় স্থল অভিযানে জন্য তাদের সৈন্যদের প্রস্তুতি নেয়ার বিভিন্ন ছবি পোস্ট করেছে। ছবিগুলো এক্স বা সাবেক টুইটারের ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েল দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে এবং গাজা উপত্যকায় সব সেনা ও কমান্ডার মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন “আমরা লড়াই চালিয়ে যাব এবং আমরা আত্মসমর্পণ করব না। আকাশ বা স্থল কোথাও সৈন্য প্রত্যাহার করব না।”